
অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আত্মপ্রকাশ করেছে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে জুলাইয়ে শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বির বোন মীম আক্তার নতুন এই দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। ২১৭ সদস্য বিশিষ্ট এই আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
পদযাত্রার শুরুতেই দলটির নেতারা ঘোষণা করেছে, তারা অন্য কোনো দেশ নয়, তারা হবেন বাংলাদেশপন্থী। তারা আরো ঘোষণা করেছেন, ভারতপন্থী, পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির ঠাঁই আর বাংলাদেশে হবে না। তাদের লক্ষ্য ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ তথা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আর তা পূরণে নতুন সংবিধান প্রণয়নে সংসদের আগে গণপরিষদ নির্বাচন চান তারা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের উদ্যোগে গঠিত এনসিপির ঘোষণাপত্রে এসব নির্ধারণ করা হয়েছে।
মূলত সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, একাত্তর ও চব্বিশকে ধারণ করা বাংলাদেশপন্থী রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য চেয়ে সংসদের আগে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে এনসিপি। দলটি সরকারের আনুকূল্যে তথা ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে গঠিত হচ্ছে বলে সমালোচকরা বললেও, তা নাচক করেছেন দলের সংগঠকরা।
আপাতত সার্বিক বিবেচনায় বিপ্লবী তরুণদের এই দলকে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির মতো প্রথাগত কিংস পার্টি বলা যাচ্ছে না। কারণ-প্রথমত, এই দলের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারপ্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূস নেই। দ্বিতীয়ত, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করে তবেই দলের হাল ধরেছেন। তৃতীয়ত, আগের মতো নতুন দল সৃষ্টিতে ডিজিএফআইয়ের কোনো ভূমিকার কথা এখনো পর্যন্ত শোন যায়নি ; বরং সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বিতর্কিত বক্তব্যে তরুণদের প্রতি এক ধরনের বিরাগ প্রকাশ পেয়েছে। সুতারাং এনসিপ’কে সরকার-সমর্থিত বলাগেলেও প্রথাগত কিংস পার্টির ট্যাগ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এখন যদি আগামী নির্বাচনের আগে ড. মোহাম্মদ ইউনূস সরাসরি দলের হাল ধরেন এবং নির্বাচনে অংশ্রহণ করেন, তাহলে অবশ্যই এনসিপিও জাতীয় পার্টি ও বিএনপির কাতারভুক্ত হবে।
বস্তুত, তারুণ্যখচিত দল এনসিপির অভ্যুদয় মনে করিয়ে দেয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কথা। স্বাধীনতার পরপরই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ছাত্র-তরুণরা গড়েছিলেন জাসদ। বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে আলোড়ন তোলা জাসদ ছিল নবগঠিত বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের অঙ্গীকারে দীপ্ত। ১৯৭২ সালের অক্টোবরে গঠিত জাসদকে মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় ১৯৭৩ সালের মাচ মাসে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হয়েছিল। সে নির্বাচনে প্লেয়িং ফিল্ডে হতে দেওয়া হয়নি। ব্যালটের লড়াইয়ে জাসদের সক্ষমতাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অস্ত্রের ভাষায় মোকাবিলা করে। ওই নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞাতা জাসদকে ঠেলে দেয় সশস্ত্র প্রতিরোধের পথে। এতে খুব দ্রুতই জাসদ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়ে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথ হারিয়ে জাসদ সন্ত্রাসের চোরাবালীতে আটকা পড়ে। জাসদের ইতিহাস হয়ে দাঁড়ায় বিভ্রান্ত তারুণ্যের দিগভ্রান্ত অভিযান। সেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এনসিপি কতটা সন্তর্পণে পথ চলতে পারবে, তার ওপর তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেকটা নির্ভর করবে। এনসপির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, এ দেশে ছাত্র-তরুণরা ঘাতকের বুলেট বুক পেতে নিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এখন তারা ব্যালট মোকাবিলায় প্রস্তুত। আর রক্তপাত নয়, গণতান্ত্রিক পন্থাতেই হবে তাদের এখনকার অগ্রযাত্রা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিপ্লবী তরুণরা অঙ্গীকার করেছে, ফ্যাসিবাদের দালাল পুঁজিপতি ও অলিগার্কদের কাছ থেকে তারা সংগঠন পরিচালনার জন্য কোনো অর্থ নেবেন না কিংবা দলের আদর্শকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা ও অনুদান নেবে না। এটা একটি সাহসী পদক্ষেপ।
তরুণ তুর্কিরা নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ট্রায়াল হিসেবে জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন। হাসিনাসহ পতিত ফ্যাসিবাদীদের বিচারের আগে সংসদ নির্বাচন করলে রাষ্ট্রীয় সংস্কার বাধাগ্রস্ত হবে এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানের আশঙ্কা দেখা দেবে বলেও তারা মনে করছেন। তাদের এ অবস্থা বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অবস্থানের বিপরীত। এই মতভেদের কীভাবে নিরসন ঘটবে অথবা এ থেকে নতুন করে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সৃষ্টি হবে কিনা, তা নিয়ে বেশ শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আশা করা যায়, সাধারণ জনগণ যদি তাদের পক্ষে থাকেন, তাহলে এই সংশয় ও ভয় কেটে যাবে।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এনসিপির নেতারা বলেছেন, গণপরিষদে নতুন সংবিধান রচিত হবে। যার মাধ্যমে গড়ে ওঠবে কাঙ্ক্ষিত প্রজাতন্ত্র। যেখানে সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হবে। পরিবারতন্ত্র নয়, মেধা ও যোগ্যতায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় কে যাবে, তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের আমজনতা, ভারত নয়। ভারতীয় ‘আধিপত্যবাদের’ বিরোধীতা করা এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান শ্লোগান ছিল-‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ; ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ; ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ; ‘ দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ সহ আরো কিছু শিহরন জাগানো শ্লোগান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে এভাবে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে এবং এত ব্যাপক আওয়াজ দিয়ে অতীতে কোনো রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়নি। প্রায় সব গণমাধ্যমের আনুকূল্য পেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলটির আত্মপ্রকাশের খবরটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া দিনভর দখলে রেখেছিল। বেশিরভাগ দৈনিক পত্রিকাগুলো একাধিক সাইড-স্টোরি করেছে। লোকসমাগমের ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রেও সংবাদপত্রগুলো নতুন দলের প্রতি যথেষ্ট উদারতা দেখিয়েছে। এটা নতুন দলের জন্য বড় প্রাপ্তি। অতীতে বাংলাদেশে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সূচনা-পর্বে এতটা মিডিয়া কভারেজ পায়নি।
নতুন দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে সূচনাকালে তেমন বড় কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। প্রধান প্রধান রাজনৈদিক দলগুলোর ভেতরকার অনুভূতি যাই থাকুক, প্রকাশ্যে স্বাগত জানিয়েছে বা জানাতে হয়েছে। এক মাস আগেও ছাত্রদের দল নিয়ে কড়া, প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল বিএনপি। সেখান থেকে সরে এসে এখন দৃশ্যত স্বাগত জানাচ্ছে। ভবিষ্যৎ নির্বাচনী রাজনীতির সমীকরণ থেকেই হয়তো ছাত্রনেতৃত্বের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি উপস্থিত থেকে শুভকামনা জানিয়েছেন। আর জামায়াত শুরু থেকেই ছাত্রদের দলকে কাছে রাখতে চাইছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার মানিক মিয়া এভিনিউর সমাবেশে উপস্থিত হয়ে নতুন দলের প্রতি তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বার্তা দিয়েছেন। এছাড়াও খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ আরো বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদের নতুন দলকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
এত কিছু অনুকূলে পাওয়ার পরও বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন জাগে-জুলাই বিপ্লবের এই টগবগে তরুণেরা কি পারবে গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন ঘটাতে? কারণ, নাহিদ-আখতারের নেতৃত্বাধীন নতুন দলের সামনে চ্যালেঞ্জও কম নয়। এই প্রসঙ্গে জুলাই বিপ্লবের তরুণ নেতারা আত্মপ্রকাশ মঞ্চ থেকে বলেছেন, পুরোনো রাজনীতি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন দল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতি রেখে পরিচালিত হবে। দেশকে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এগিয়ে নিতে পুরোনোর অভিজ্ঞতা ও তরুণদের উদ্যমের সমন্বয় থাকবে। নীতি-আদর্শ ও কর্মসূচির অভিনবত্বে তারা রাজনীতিতে নতুনত্বের ছাপ রাখতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে তারা আমজনতার সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন।
আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এনসিপির অনেক সদস্য মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারির গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে ভিন্নধারার জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আগ্রহ আছে। উত্তরাধিকার ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির পরির্বতন নিয়েও অনেকে কথা বলেছেন। এমন মতামত নতুন দলের জন্য বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। যদিও দ্বি-ধারার ক্ষমতার রাজনীতি থেকে বাংলাদেশ কতটা বের হতে পারবে বা আদৌ পারবে কি না, এর সংশয় এখনো প্রবল। প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং পতিত প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ছাড়াও গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে জামায়াতসহ ইসলামপন্থী রাজনীতির নব-উত্থান নতুন দলের ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় নতুন দলের সামনে যেসব বাধা বিপত্তি থাকে, এনসিপির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। সব বাধা বিপত্তি মারিয়ে তাকে সামনেরদিকে এগোতে হবে। প্রতিষ্ঠিত ও পরীক্ষিত দলগুলোর বিকল্প হিসেবে এনসিপিকে মানুষ কেন বেছে নেবে, সেটা জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে জানান দিতে হবে। এখানে ছলচাতুরী ও শঠতা পরিহার করতে হবে। শুধু কথা বলে মানুষের মন জয় করা যাবে না; কাজের মাধ্যমে তাদেরকে আশ্বত্ব করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষের অবস্থা ঘর পোড়া গরুর মতো। তাই তাদের মনে সন্দেহ জেগে ওঠে, নতুন দলের যুবারা নতুন কথা বলে পুরোনো পথেই হাঁটবে না তো?
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিপ্লবী ছাত্রনেতাদের সমর্থিত। ফলে সরকারের ব্যর্থতার দায়ভার অনেকটাই নতুন দলের উপরও বর্তাবে। বিশেষ করে সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নাহিদ-আখতারের দলকে দোটায় পড়তে হতে পারে। ঘোষিত কর্মসূচি বা জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে এনসিপি প্রেশার ফোর্স হিসেবে কাজ করতে গেলে সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া ও প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা-ও দেখবার বিষয়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দল পরিচালনায় অর্থের জোগান ও স্বচ্ছতা এক বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন দলের দিকে কড়া নজর থাকবে পুরোনো দল ও রাজনীতির বিভিন্ন নিয়ামক শক্তিগুলোর। আবার তরুণদের মধ্যে ক্ষমতাচর্চা ও আধিপত্য বিস্তারের একধরনের প্রবণতা থাকে। দুর্বিনীত ও বেপরোয়া আচরণও তারুণ্যের সহজাত। জাতীয় নাগরিক পার্টির বেশিরভাগ সদস্য ও নেতা যেহেতু তরুণ, তারা মাঠপর্যায়ে কতটা সংযমী, নিষ্ঠাবান ও জনবান্ধব হবে, সেটাও পর্যবেক্ষণ করবে পতিপক্ষ। এর ব্যত্যয় ঘটলে তা নতুন দলের ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে বিরাট চ্যালেঞ্জ হতে পারে। অভিজ্ঞমহলের মতে, এনসিপির ভবিষ্যৎ বেশ সম্ভাবনাময়, তবে তা সততা, নিষ্ঠা, ভদ্রতা ও নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করতে হবে।
বস্তুত, ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সংঘটিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা তীব্রতর হয়েছে। জনগণ আর গতানুগতিক ধারার পুরোনো রাজনীতি দেখতে চায় না। পুরোনো দলগুলোর নিকটও মানুষ নতুন বাস্তবতায় পরিশীলিত আচরণ প্রত্যাশা করছে। তারা বর্তমান নষ্ট রাজনীতির কালচারের পরিবর্তন চাচ্ছে।
আমরা আশা করছি, জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রণকারী তরুনদের এনসিপি দলটি দেশের সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে জনগণের কাঙ্খিত বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং বর্তমান রাজনীতির নষ্ট কালচারের পরিবর্তনের জন্য সচেষ্ট ও যত্মবান হবে। আমরা এই দলটির সফলতা কামনা করছি।
খায়রুল আকরাম খান
ব্যুরো চীফ : deshdorshon.com
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized