
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিক আলোচনার বিষয় হচ্ছ, ফ্যাসিস্টদের বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন। ইতিমধ্যে ফ্যাসিস্টদের বিচার শুরু হয়েছে। খুশীর কথা হলো, গত ১ জুন ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন টিম। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু হলো। এই বিচার প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না এবং সব ক্ষেত্রে যাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটাই এখন সবার কাম্য।
জুলাই গণহত্যা বিচারের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রী কাঠামো মেরামতের কাজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা অবশ্য ১৮ কোটি জনগণের প্রাণের দাবি। সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের রির্পোট অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় মেরামতের কাজ চলমান রেখেছে। নিঃসন্দেহে সরকার এব্যাপারে খুবই আন্তরিক। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপিসহ নাম-সর্বস্ব কিছু দল নির্বাচনের দিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই তারা সংস্কারের চেয়ে যেনতেন নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
তারা চলিত বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাচ্ছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেছেন, এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে। কিন্তু এতে তারা সন্তুষ্ট নয়,তারা চলিত বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চান!! এযেন মামার বাড়ির আবদার!!
বিএনপিসহ ক্ষমতা প্রত্যাশীরা রাষ্ট্রীয় সংস্কার চায় বটে, তবে যতটা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন ততটা। তাদের মতে, সংস্কার কারার দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের ; অনির্বাচিত সরকারের নয়। তাদের এ সত্য নয়, তারা ১৮ কোটি জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচিত সরকারের চেয়ে তাদের গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। তাদের একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, অতীতে কোনো নির্বাচিত সরকারই সেটা করেনি! ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে তারা যে, রাষ্ট্রের সংস্কার করবে এর নিশ্চিয়তা কি?
একথা আমাদের দেশের সকল রাজনীবিদদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে, শুধু নির্বাচন জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল না। এটা ছিল স্বৈরাচারিতা, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে একটা গণঅভ্যুত্থান। বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ দেখতে চেয়েছে। তারা নিরপেক্ষতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ ও সত্যিকারের মুক্তি চেয়েছে। পুরোনো ভাঙা ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য তারা বিক্ষোভ করেনি।
বাংলাদেশের অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে তারাহুড়ার নির্বাচন থেকে সাধারণত স্বৈরশাসকের জন্ম হয়। ভুয়া ভোটার, গোপন চুক্তি এবং জোর করে ভোটের ফল বদলে দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত শক্তি ক্ষমতায় টিকে থাকে। এখন তারাহুড়া করলে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে।
অবাক হওয়ার বিষয়, বিএনপিসহ নাম-সর্বস্ব কিছু রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি প্রায় একই সময় নির্বাচনের দাবি ও আহ্বান জানাচ্ছে-ভারত সরকার, ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধানসহ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান!! এটাকে কাকতালীয় মনে হলেও, কাকতালীয় নয়!! এদের আচার-আচরণ দেখে মনে হচ্ছে-রাষ্ট্রীয় সংস্কার এজেন্ডাকে থামানোর জন্য যেন এরা সমন্বিত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে! ব্যাপারটি অনভিপ্রেত ও অপ্রত্যাশিত বটে।
বলাবাহুল্য যে, ভারত বহুকাল ধরে বাংলাদেশকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে আসছে। বিশেষকরে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যার শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। যেমন-বন্দর ব্যবহারের সুবিধা, বাণিজ্য চুক্তি, ট্রানজিট সুবিধা, স্থল ও রেলপথের সুবিধা, জ্বালানি প্রকল্প, এমনকি বাংলাদেশী বিভিন্ন সংস্থা থেকে যথেষ্টা সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছে তারা। কিন্তু জুলাই বিপ্লব সেসব হিসাব বদলে দিয়েছে। এখন ভারতের ভয় আগেকার সেইসব সুবিধা সময়ের পরিক্রমায় হয়তো হাতছাড়া হয়ে যাবে। বাংলাদেশে তাদের আধিপত্যবাদের চির অবসান হবে।
আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দিয়ে হয়তো ভারত তাদের পুরোনো ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করতে পারে। অথবা এমন কোনো নতুন আজ্ঞাবাহী রাজনৈতিক দলকে তারা ক্ষমতায় দেখতে চাইবে, যারা তাদের স্বার্থ সস্পূর্ণরূপে রক্ষা করবে। এসব স্বার্থগুলো হলো-অমানবিক ফারাক্কা ও তিস্তা চুক্তি বজায় রাখা, একতরফা বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু রাখা ও বড় বড় প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করা।
বস্তুত, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের এক সংকটময় মুহূর্তে বা ক্রান্তিকালে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে নানামু্খী চক্রান্ত-প্রতিকূ্লতা মোকাবিলা করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে অনেক উঁচু অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আগামী দিনে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান চিরতরে বন্ধের জন্য রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যাচ্ছেন। ঠিক এমনি অবস্থায় সংস্কারের আগে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সেটা হবে আত্মঘাতী ও জাতীর সাথে চরম বিশ্বাঘাতকতার নামান্তর। বলবার অপেক্ষা রাখে না যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুধু ক্ষমতার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাকে গণতন্ত্র পুনর্বহালের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে বা নির্বাচন তারাতাড়ি অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বেশকিছু জটিল সমস্যার সৃষ্টি হবে ; যেমন-নির্বাচন কমিশন আগের মতোই ভঙ্গুর থাকবে, পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলো বিদ্যমান ব্যবস্থার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অত্যাচারী মানুষ আবার ক্ষমতায় আসতে পারে ও ভারতের সমর্থনপুষ্ট আজ্ঞাবাহী দল সরকার গঠন করবে, জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মীরা চরমভাবে হয়রানী ও অহেতুক মামলার শিকার হবেন।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূস সরকারকে বির্তকীত ও বেকায়দায় ফেলার জন্য বাংলাদেশের কিছু ভারতের তল্পিবাহক ও ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীই শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতা করছে এমনটি নয়, ভারতের মিডিয়াও তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। এই প্রচারণায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারতের বিখ্যাত সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলো, যারা মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে বেশ পরিচিত। তারা অন্তর্বর্তী সরকাকে ‘চরমপন্থীদের ফ্রন্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আরো বলছে, ড.ইউনূস সরকার বৈশ্বিক কূটনীতিতে বেশ দুর্বল। তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবেও তুলে ধরছে তারা। তবে তাদের এসব দাবির পক্ষে একটিও প্রমাণ নেই। বাস্তবতা হলো, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসির মতো বহু আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি, কানাডা, চীন, পাকিস্তানসহ প্রায় পৃথিবীর সব দেশ বাংলাদেশের সংস্কারের ব্যাপারে সুস্পষ্ট সমর্থন দিয়েছে।
বস্তুত, ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের সত্যিকারের অগ্রগতিগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে-রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সমর্থন, সীমান্ত হত্যার মাত্রা হ্রাস, বিচারব্যবস্থার উন্নতি এবং রপ্তানী বৃদ্ধি। এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সাথে পক্ষপাতদুষ্ট জ্বালানি চুক্তিগুলো পুনঃপর্যালোচনা করছে। একতরফা ট্রানজিট প্রকল্পগুলো স্থগিত করেছে। সার্ককে আবার সমতার ভিত্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। মূলত এগুলো এড়িয়ে তারা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর খেলায় নেমেছে। অবাক হওয়ার বিষয়, বিএনপিসহ ভারতের সমর্থনপুষ্ট দলগুলো ভারতীয় মিডিয়ার কথায় সাড়া দিচ্ছে!
একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন এখনো পুরাপুরি প্রস্তুত নয়। কারণ,(১) কিছু এলাকায় এখনো সহিংসতা রয়েছে। বহু অপরাধী চক্র সেখানে সক্রিয় রয়েছে। পুলিশ এখনো পুরোপুরি নিরপেক্ষ হয়নি। আইন প্রয়োগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন না হলে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন অসম্ভব। (২) নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ এখনো পুনর্গঠনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার আগে নির্বাচন করতে গেলে আরেকটি ক্রটিপূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাবে। (৩) ভোটার তালিকায় বহু ভুয়া ভোটার, বাদ পড়া নাম এবং আইডি কার্ডের সমস্যা পাওয়া গেছে। তালিকা পুরোপুরি যাচাই এবং আপডেটের কাজ চলছে এখন। কিন্তু সেটা শেষ হতেও সময় লাগবে। এবং (৪) প্রায় দেড় কোটি রেমিটেন্সযোদ্ধাকে নতুন ভোটারের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করতে হবে এবং ভোটার এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারন করতে হবে। এসব কাজ সম্পন্ন করতে বেশ সময় লাগবে।
সার্বিক বিবেচনায় বিএনপিসহ ক্ষমতা প্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোকে ধৈর্যধরে নির্বাচনের জন্য আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। এর আগে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন কোনো পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া উচিত নয়, যেখানে তারা সংস্কারমূলক এজেন্ডা থেকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হন। এটা বলবার অপেক্ষা রাখে না যে, সংবিধান সংস্কার না করে শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর তুষ্টির জন্য নির্বাচন আয়োজন করার মানে হবে জুলাই বিপ্লবের অগ্রগতিকে উল্টে দেওয়ার নামান্তর।
সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য কখনো স্থায়ী সুফল বয়ে আনবে না। বাংলাদেশের মানুষ সামরিক শাসন দেখেছে। নির্বাচিত সরকারের দেশ পরিচালনাও দেখেছে। বিশেষ করে ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত দুটি দলীয় সরকার অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ক্ষমতার হাতবদল বদল দেখেছে। কিন্তু এ সময় দেশে গণতন্ত্র, সুশাস, নির্বাচনসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে যে ধরনের পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, তা আশানুরূপ হয়নি। বিশেষ করে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে ২০০৯ থেকে প্রায় ১৬ বছর দুর্নীতি, গুন, গুম, চাঁদাবাজী, বিদেশে টাকা পাচার ও সর্বশেষ গণহত্যার যে বিশ্বরেকর্ড করেছে, তা দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো রাজনৈতিক দল স্বৈরাচারী হয়ে এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে না পারে, সে জন্যই রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।
বস্তুত, আমাদের দেশের বেশিরভাগ নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের স্বার্থের বন্দোবস্ত নিয়ে মহাব্যস্ত থাকে, যা বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসন আমল সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ। এ কারণে রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ সংস্কার না করে কোনো গোষ্ঠী, দল ও দেশকে খুশী করার জন্য যেনতেন নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দিলে ফ্যাসিস্ট রাজনীতির পুনরাবৃত্তি হবে, যা হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে চরম বেঈমানি।
সুতরাং জুলাই বিপ্লবের অর্জনকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই জুলাই গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করে তারপরই জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, এর আগে নয়। এটা বাংলাদেশের আপামর জনগণের প্রত্যাশা।
খায়রুল আকরাম খান
ব্যুরো চীফ : deshdorshon.com
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized