শনিবার ভোর ৫:০৪, ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ. ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ খবর:
‘আমার স্ত্রী মাকসুদাকে মেরে ফেলেছি, আমাকে থানায় নিয়ে যান’ বন্যার্তদের জন্য জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আলোচনাসভা ও দোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়কর আইনজীবী সমিতির অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা একাডেমিতে ‘মাতৃভাষা উৎসব’ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পোস্টারে লেমিনেশন ও পলিথিন ব্যবহাররোধে স্মারকলিপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় পার্টি: চুন্নু মাতৃভাষা একাডেমিতে কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া সম্মেলন অনু‌ষ্ঠিত ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ার বিখ্যাত বাইশমৌজা বাজার ও গরুর হাট ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ায় তরুণ আলেমদের ২য় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তরুণ আলেমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ভয়াবহ সাইবার হামলার শিকার অষ্ট্রেলিয়া

১৯৫ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

অস্ট্রেলিয়ার প্রায় এক কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে। গত সপ্তাহে দেশটির টেলিকমিউনিকেশন খাতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান অপটাস এই তথ্য জানতে পেরেছে বলে জানিয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪০ ভাগ লোকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির এই ঘটনাকে প্রতিষ্ঠানটিসাইবার হামলাহিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

 কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটাই হতে পারে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির ঘটনা। তবে এই সপ্তাহে আরও কিছু নাটকীয় ঘটনা দেখা গেছে। এর মধ্যে আছে মুক্তিপণের হুমকি, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং এটি হ্যাকের ঘটনা কি-না তা যাচাই করা।

এটা একই সাথে এই প্রশ্নও উস্কে দিয়েছে যে অস্ট্রেলিয়া কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ও প্রাইভেসির বিষয়টি দেখভাল করে। গত বৃহস্পতিবার অ্যালার্ম বেজেছিলো

অপটাস সিঙ্গাপুর টেলিকমিউনিকেশন লিঃ-এর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান। তারা ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পর প্রকাশ করে যে নেটওয়ার্কে সন্দেহভাজন কার্যক্রমের বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে এসেছে।

অস্ট্রেলিয়ার টেলিকম খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই প্রতিষ্ঠান জানায় যে তাদের সাবেক ও বর্তমান গ্রাহকদের ডাটা (তথ্য) চুরি হয়েছে। এর মধ্যে আছে নাম, জন্মতারিখ, ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা, পাসপোর্ট নাম্বার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার।

তবে তারা দাবি করে যে পেমেন্ট বিষয়ক তথ্যাদি ও অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়নি। সরকার বলেছে, যাদের পাসপোর্ট বা লাইসেন্স নাম্বার চুরি হয়েছে তাদের আইডেন্টিটি চুরি বা প্রতারণার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ।

অপটাস বলছে, তারা ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং পুলিশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এতো বড় চুরির ঘটনাটি দেশের বাইরে থেকে সংঘটিত হয়েছে।

ঘটনার জন্য আবেগময় ভাষায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন অপটাসের প্রধান নির্বাহী কেলি বায়ের রোজমারিন। তিনি এটিকে ‘নিখুঁত হামলা’ আখ্যায়িত করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন যে তার কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী।

অবশ্যই, আমি ক্ষুব্ধ যে একদল ব্যক্তি আমাদের গ্রাহকদের সাথে এটা করতে চেয়েছে এবং আমি হতাশ কারণ আমরা সেটি ঠেকাতে পারিনি, শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেছেন।

মুক্তিপণের হুমকি

এর আগে শনিবার একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী একটি অনলাইন ফোরামে কিছু নমুনা প্রকাশ করেন এবং অপটাস থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এক মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেন।

কোম্পানিটিকে এটি পরিশোধের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়। তা না হলে চুরি করা তথ্য বিক্রির হুমকি দেয়া হয়। তদন্তকারীরা এখনো ওই ব্যক্তির দাবির বিষয়টি যাচাই করে দেখতে পারেনি। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে প্রকাশিত নমুনার কিছু তাদের কাছে সত্যি মনে হয়েছে।

সিডনিভিত্তিক টেক রিপোর্টার জেরেমি কির্ক কথিত সেই হ্যাকারের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং এরপর বলেছেন ওই ব্যক্তি তাকে কীভাবে তথ্য চুরি করা হয়েছে- তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে।

তিনি অপটাসের দাবির সাথে একমত হননি। বরং বলেছেন, তারা বিনামূল্যে প্রবেশ করা যায় এমন একটি সফটওয়্যার ইন্টারফেস থেকে তথ্য নিয়ে নিয়েছেন।

কোন যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন হয়নি…সবই ইন্টারনেটে আমাদের সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো, তারা তাদের বার্তায় বলেছেন বলে কির্ক জানিয়েছেন।  তথ্য ছড়াচ্ছে আর নতুন চুরির বিস্তারিত প্রকাশ পাচ্ছে

মঙ্গলবার নিজেকে হ্যাকার হিসেবে দাবি করা সেই ব্যক্তি ১০ হাজার গ্রাহকের রেকর্ড ফাঁস করেন এবং তার আগে দাবি করা মুক্তিপণের ডেডলাইন পুনরায় মনে করিয়ে দেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি আবার দুঃখ প্রকাশ করেন বলেন, এটা একটা ভুল বা মিসটেক ছিলো এবং তিনি যেসব ডেটা ফাঁস করেছিলেন, সেগুলো ডিলিট করে দেন।

অনেকে দেখছেন। আমরা ডেটাগুলো কারও কাছে বিক্রি করিনি, তিনি পোস্ট করেন। তিনি আরও বলেন, অপ্টাসের কাছে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি এ থেকে ভালো কিছু হবে।

এরপর সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ে যে অপ্টাস হয়তো মুক্তিপণ পরিশোধ করেছে। যদিও কোম্পানিটি তা অস্বীকার করেছে। তবে নতুন সমস্যা যুক্ত হয়েছে যে ডিলিট করা তথ্যগুলোই কেউ কেউ কপি করে রেখেছে এবং সেগুলো পরে তারা প্রকাশ করে যাচ্ছিলো।

এর মধ্যে কিছু গ্রাহকের স্বাস্থ্যগত তথ্যাদিও দেখা যাচ্ছে- সরকারি পরিচিতি নাম্বার যার বিপরীতে মেডিক্যাল রেকর্ডসে প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়- এগুলোও চুক্তির হয়েছে যা অপ্টাস আগে কখনো প্রকাশ করেনি। গত সপ্তাহ থেকেই ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের একের পর এক বার্তায় ভেসে যাচ্ছে অপ্টাস। কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলাও হতে পারে।

এটা সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক তথ্য চুরির ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা এবং যেভাবে ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে- তার প্রকৃতির দিক থেকেও,  বলছিলেন আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠান স্ল্যাটার অ্যান্ড গর্ডন লইয়ার্সের বেন জোক্কো।

সরকার এ ঘটনাকে নজিরবিহীন আখ্যায়িত করেছে এবং অপ্টাসকে দোষারোপ করে বলেছে যে তারা জানালা কার্যকর ভাবে খুলে রেখেছিলো, যাতে স্পর্শকাতর তথ্য চুরি হতে পারে।

সোমবার এবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাইবার সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নেইলকেও এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো যে তিনিও অপ্টাসের মতো নিখুঁত হামলাকেই একমাত্র কারণ মনে করেন কি-না। তিনি বলেছেন , না। এটি তা ছিলো না।

বেয়ার রোজমারিন মঙ্গলবার নিউজ কর্প অস্ট্রেলিয়াকে বলেছেন, “আমাদের কয়েক স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা আছে। সুতরাং এটা শুধু সফটওয়্যার ইন্টারফেসে প্রবেশের বিষয় নয়। আমি মনে করি বেশিরভাগ গ্রাহকরাই বুঝতে পেরেছেন যে আমরা ভিলেন নই,” তিনি বলছিলেন। তবে একই সাথে তিনি বলেছেন যে যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই অপ্টাস এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলতে পারে না।

 

সূত্র : ইত্তেফাক

 

Some text

ক্যাটাগরি: Uncategorized

Leave a Reply

Mostbet Com’da Oynamak Mı Istiyorsunuz?…

ভার‌তের আধিপত্যবাদ ও বাংলা‌দেশ

Casinos Online Confiables Por Dinero…

আগে সংস্কার প‌রে নির্বাচন

Sådan Vælger Du Det Bedste…

1win Brasil Apostas E Cassino…

Best Online Casinos With Regard…