example.com

Verify you are human by completing the action below.

example.com needs to review the security of your connection before proceeding.
উগ্রপন্থী আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক – দেশ দর্শন
সোমবার বিকাল ৫:৪১, ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ. ২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ খবর:
হাফেজ আবুল হাসান কুমিল্লার হুজুরের জানাযায় জনতার ঢল ‘আমার স্ত্রী মাকসুদাকে মেরে ফেলেছি, আমাকে থানায় নিয়ে যান’ বন্যার্তদের জন্য জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আলোচনাসভা ও দোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়কর আইনজীবী সমিতির অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা একাডেমিতে ‘মাতৃভাষা উৎসব’ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পোস্টারে লেমিনেশন ও পলিথিন ব্যবহাররোধে স্মারকলিপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় পার্টি: চুন্নু মাতৃভাষা একাডেমিতে কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া সম্মেলন অনু‌ষ্ঠিত ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ার বিখ্যাত বাইশমৌজা বাজার ও গরুর হাট ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ায় তরুণ আলেমদের ২য় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

উগ্রপন্থী আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক

সরকার জুম্মান

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামের আদর্শ হচ্ছে- সে মুমিন, যার প্রতিবেশী তার মুখ ও হাত থেকে নিরাপদ। সে পরীক্ষায় এখন আস্তিক-নাস্তিক দুজনই ফেল।

সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ, ভাবসাব, চলাফেরা, দেখতে শুনতে নাদুস-নুদুস, পরিচিতি ব্যক্তিত্ব। দেখলেই বুঝা যায় তার অবস্থান। প্রচুর পরিমাণে গুণগ্রাহী (প্রশংসাপ্রিয়), আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, অন্যরকম পরিবেশ, এসি বাড়ি-গাড়িতে থাকা ও চলাফেরা। আদর্শের মানদণ্ডে অনুত্তীর্ণ, হোক আস্তিক বা নাস্তিক। নাস্তিকরা দেখে আস্তিকদের এমন ‘বড় মানুষদের’ উল্টোপাল্টা আচরণ। আর আস্তিকরা দেখে নাস্তিক্যবাদীদের অপকর্ম। এদের উভয়ের চিন্তাগত ও দৃষ্টিভঙ্গিত মিল- একজনের পিছনে আরেকজনের লেগে থাকা। কেউ কারো বিষয় নিতে পারে না। নেয়ার কথাও নয়।

দু’শ্রেণির মানসিকতা সম্পূর্ণ বিপরীত। তাহলে সমাধান কী, শুধুই যুদ্ধ? হয় মুখে, নয় রাস্তায়। আসলেই কি তারা যে যার অবস্থানে থেকে যে যার গোত্রের প্রতিনিধিত্ব বা উপকারে ব্যস্ত? মূলত এখানে মানদণ্ড হচ্ছে, নিজের ব্যক্তিগত সুবিধাবাদী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। আসলে কেউ যদি আদ্যোপান্ত গবেষণা রাখে তবে এ দু’দলের মধ্যে থাকবে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একজন আরেকজনকে পাশে বসিয়ে, চা খাইয়ে আদর্শের মতবিনিময় করতেন। যার দ্বারা ভালো-মন্দের মাঝখান থেকে ভালোকে উদ্ধার করে সঠিক সত্য তুলে আনা সম্ভব হতো।

অথচ ব্যক্তিগত স্বার্থের কাছে জাতির আদর্শ আজ বন্দী। নাস্তিকরা আস্তিকদের যে আদর্শ দেখে তা কি আদৌ আদর্শ? ইসলাম ধর্মে স্রষ্টা কর্তৃক মনোনীত সর্বশেষ আদর্শ নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম । যার জীবনের বাস্তবতা এমন, অনেকেই জীবন পরিবর্তন করেছে তাকে দেখামাত্রই। তাহলে তারা তার কী দেখেছিল? যে বিষয়গুলো নিয়ে আজ আস্তিক-নাস্তিকদের গবেষণার মূল বিষয়, সেগুলো চাপা পড়ে এখন স্বার্থবাদী বিষয় নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ির প্রতিযোগিতা।

যদি কেউ সুস্থ মস্তিষ্কে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পাশাপাশি বসে ঠাণ্ডা মাথায় আলোচনা করে চিন্তা ও জ্ঞানগত বিষয় নিয়ে, তখন অবশ্যই কোনো না কোনো সমাধানে আসা সম্ভব। যদি তা নাও হয় তবে অন্ততপক্ষে একজন আরেকজনের কাছে নিরাপদ থাকবে মৌখিক ও শারীরিকভাবে।

সমস্যা মূলত কোথায়? জ্ঞান ও চিন্তায়। যারা আস্তিক মানসিকতায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের জ্ঞানী, তারা কখনো নাস্তিকদের আক্রমণ করবে না বরং সার্বক্ষণিক তাদের উদ্ধার ও হেদায়ার চিন্তা-চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবে। আর নাস্তিকদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের জ্ঞানী যারা, তারা কখনো আস্তিক্যবাদী মানুষদের আক্রমণ না করে তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সমাধান নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। যদিও চিন্তাগত দিক থেকে বিশ্বের বড় বড় চিন্তাবিদ নাস্তিকরা সরাসরি তাদের নাস্তিকতার উৎস সন্ধান নিয়ে সন্দেহ করে কোনো আস্তিককে আক্রমণ করে না । যারা করে তারা উগ্রপন্থী আস্তিক ও নাস্তিক।

এ দলটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক। যদি কেউ সুস্থ মস্তিষ্কে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পাশাপাশি বসে ঠাণ্ডা মাথায় আলোচনা করে চিন্তা ও জ্ঞানগত বিষয় নিয়ে, তখন অবশ্যই কোনো না কোনো সমাধানে আসা সম্ভব। যদি তা নাও হয় তবে অন্ততপক্ষে একজন আরেকজনের কাছে নিরাপদ থাকবে মৌখিক ও শারীরিকভাবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামের আদর্শ হচ্ছে- সে মুমিন, যার প্রতিবেশী তার মুখ ও হাত থেকে নিরাপদ। সে পরীক্ষায় এখন আস্তিক-নাস্তিক দুজনই ফেল।

বাকস্বাধীনতা প্রত্যেকটা মানুষের প্রাকৃতিক ও জন্মগত অধিকার। যার যা ইচ্ছা সেটা বলতেই পারে। কিন্তু ভুল-শুদ্ধের যাচাই-বাছাই বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শের দ্বারা হতে হবে। যদি সেই সুযোগটা কেউ না দেয় তবে সমাধান কিভাবে সম্ভব? যারা আস্তিক তাদের চিন্তা করা উচিত, যদি তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমে যায় তখন তারা বাকস্বাধীনতার ব্যাপারে কিভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন। আর যারা নাস্তিক তাদের চিন্তা করা উচিত, যদি তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেড়ে যায় তখন কি তারা ফ্যাসিস্ট মানসিকতায় ধার্মিকদের দমন করবেন? এভাবে পাল্টাপাল্টি কি আমাদের জন্য শান্তির সমাধান?

আমার ভাই নাস্তিক হয়ে গেছে, ভয়ে আমি তার সাথে কথা বলতে পারি না। তাই বলে তো তাকে ছেড়েও দেয়া যাবে না, মেরেও ফেলা যাবে না। কারণ স্রষ্টা মৃত্যুক্ষণের নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত প্রত্যেকটা মানুষের চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকেন তার হেদায়ার আশায়। যদি আমার দ্বারা স্রষ্টার একটা বান্দার মানসিকতা পরিপূর্ণ তালাবদ্ধ হয়ে যায় তবে সেই দায়ভার কার?

নবী’র আপন চাচা আবু জেহেল তার ভাতিজা এবং ধর্ম সম্পর্কে বুঝে শুনে জেনেও অন্ধ ভক্তির কারণে ফিরতে পারেনি। তবুও তিনি আশা ছাড়েননি। অথবা জিহাদের আগে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালোবাসা দিয়ে পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। কে এ আদর্শ নিয়ে চিন্তা করে? আর নাস্তিকরা কাকে আদর্শ মেনে এমন উৎশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে? সত্যিই চিন্তার বিষয়।

সরকার জুম্মানসাংবাদিক ও লেখক

যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

ক্যাটাগরি: ইসলাম,  ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান,  মিনি কলাম

ট্যাগ: