
তুমি কি খুঁজবে ঈশ্বরকে —
না এক নামে, না এক ঘরানায়,
বরং হাজার নদীর মতো বহমান,
তোমার নিজের সত্যের স্রোতে?
না কি কেবল শুনবে বারবার —
কারো বাণী, কারো ঘাম ঝরা গ্রন্থ,
কারো ব্যাখ্যার মূর্ছনায় —
যেখানে ঈশ্বর একমাত্র তাদেরই চোখে আঁকা?
তুমি কি সাহস করবে —
অসীম প্রশ্নের জ্বলন্ত দীপ্তিতে,
নিজ বিশ্বাসটাকেই প্রশ্ন করতে,
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আলো খুঁজতে?
ঈশ্বর কি শুধু এক নাম, এক জাতি, এক জাতকের কল্পনায়?
নাকি তিনি ধরা দেন —
বৌদ্ধ নির্বাণে, হিন্দু ধ্যানের আগুনে,
খ্রিস্টীয় প্রেমের ত্যাগে, ইসলামের নিঃশব্দ সিজদায়,
আথেইস্টের মানবতাবোধেও?
যে আলো জ্বলে নিরব প্রার্থনায়,
সে কি সীমিত কেবল মসজিদে, গির্জায়, মন্দিরে, প্যাগোডায়?
নাকি সে জ্বলে —
শিশুর হাসিতে, মায়ের চোখে,
নিরন্নের পাতে তুলে দেওয়া শেষ গ্রাসে?
তুমি কি খুঁজবে ঈশ্বরকে —
নিজ হৃদয়ের গহন গহ্বরে,
চেতনার গোপন ধ্বনিতে,
যেখানে কোনো বিভাজন নেই,
শুধু অনন্ত জিজ্ঞাসা?
সত্য তো শব্দে বাঁধা পড়ে না —
তাকে খুঁজে পেতে হয় —
নিঃস্ব হয়ে, নিঃশর্ত ভালোবাসায়,
প্রতিটি প্রাণে ঈশ্বরের সম্ভাবনা ধরে।
তুমি কি সেই অভিযাত্রায় যাবে —
সব সীমানা মুছে দিয়ে,
নির্বিশেষ মানবতায় ঈশ্বরকে ছুঁতে?
নাকি চিরকাল অন্যের চোখেই দেখবে —
একটি পরিখা কাটা ঈশ্বরের ছায়া?
সোহাগ জাকির
Some text