
শিরোনামের প্রশ্নটি এখন বিদগ্ধ দেশপ্রেমিক মহলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি সম্পর্কে আলোচনা করতে হলে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করা দরকার। সেনাবাহিনীর অফিসার থেকে রাজনীতিতে এসে সারা দুনিয়ায় যে কয়জন ব্যক্তিত্ব সফল হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম। জিয়াউর রহমানের আসমানতুল্য জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো: ১. তার ব্যক্তিগত সততা। ২. জন্মলগ্ন থেকে ধূর্ত প্রকৃতির প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়ার সাথে চোঁখে চোঁখ রেখে কথা বলা। বাংলাদেশের ইতিহাসে ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের সমতা, ন্যায্যতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে একটি মাত্র চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। সেটা জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৭৭ সালে করা গঙ্গা নদীর পানিবন্টন চুক্তি। এ চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজসহ ৪৪ কিউসেক পানি পেয়েছিল বাংলাদেশ। জিয়াউর রহমান হত্যাকান্ডের পর ইন্ডিয়া এ চুক্তি আর কার্যকর রাখেনি। যাই হোক সেটা পুরনো ইতিহাস। বিএনপি সম্পর্কে আলোচনা করার কারণে সেটা বলতে হলো।
বিএনপি কি জিয়াউর রহমানের নীতি-আদর্শ ও পলিসী থেকে সরে এসেছে? বিএনপি সিনিয়র নেতাদের আচার-আচরণ ও বক্তব্যের কারণে এ গুরুতর প্রশ্নটি সামনে এসেছে। বিস্ময়কর বিষয় যে, আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপি’র কতিপয় নেতা ৭১ নিয়েও বাণিজ্য শুরু করেছেন। ২০০৭ সালের কথিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের আমল থেকে বিএনপি নেতারা সরকারের রোষানলে পড়ে ব্যাপক জুলুমের শিকার হয়েছিলেন। তবে কথিত ১/১১ সরকারের আমলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নিরাপদ ছিলেন। ২০০৮ সাজানো ও পূর্ব পরিকল্পিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবার পর বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুনরায় জুলুমের স্টীমরোলার শুরু হয়। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চালিত জুলুমের মাত্রা ছিল ব্যাপক।
ব্যাপক জুলুমের কারণে বিএনপিতে ৩টি গ্রুপ তৈরী হয়েছিল। একটি গ্রুপ সরাসরি আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রেখেছিল। আরেক গ্রুপ নিজেদের নিরাপদ রেখে বক্তব্য-দিয়ে নিজেদের পদপদবী বজায় রেখেছিল। আরেক গ্রুপ আন্দোলন সংগ্রাম করার চেষ্টা করেছেন। তারা ছিল তৃণমূল পর্যায়ের। শেষের গ্রুপ দলীয় আন্দোলন-সংগ্রাম সফলের চেষ্টা করে গেছে। মূলত আওয়ামী আমলে বিএনপি’র কোনো আন্দোলন সফল হয়নি। কেন সফল হয়নি উপরোক্ত কয়েকটি বাক্য সঠিক ভাবে উপলব্ধি করলেই ব্যর্থতা কি ছিল সেটা বুঝা যাবে। বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা ও অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন বলে মনে হয় না। তারা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেন না।
হাসিনার পতনের পর স্বাভাবিক ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্যাতিত বিএনপি’র উৎফুল্ল হবার কথা। বাস্তবে বিএনপি নেতাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও বিভিন্ন বক্তব্যে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় যে, জুলাই বিপ্লবের পর বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা অবিরাম অসংলগ্ন, দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ও ইন্ডিয়ার ব্যাপারেও দলটির অবস্থান একেবারেই নমনীয়। অনেকেই এটাকে একধরণের Soft Corner বলছেন। এসব বক্তব্য ও আওয়ামী লীগের প্রতি নমনীয় অবস্থানের কারণে যে দলটির জনপ্রিয়তায় দিনদিন ধস নামছে। সে বিষয়ে নেতাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলে নিবন্ধের পরিধি বিশাল আকার ধারণ করবে। তাই সংক্ষেপে কিছু কথা বলা দরকার। ছাত্র সমন্বয়করা প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের উদ্যোগ নিলে তাতেও বিএনপি বাঁধা দেন। এ বিষয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করা হলে সংবিধানিক সঙ্কট তৈরী হবে। বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, তারা জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ।
আচ্ছা জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিলে বিএনপি’র সমস্যা কি? কোটারী স্বার্থের বিষয় বাদ দিলে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। বিপ্লবকে স্বীকৃতি না দিলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার, বিগত ১৬ বছরের গুম, অপহরণ, সাজানো মামলা দিয়ে বিরোধী নেতা-কর্মী ও সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের জুলুম-নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়া জটিল হবে। আওয়ামী লীগকে সহজে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা যাবে। মূল বিষয় এখানে। বিগত ১৬ বছর ইন্ডিয়ার প্রত্যক্ষ মদদ ও ইন্ধনে যে স্টাইলে দেশ চালিয়েছে তাতে স্বাভাবিক ভাবে রাজনীতিতে ফিরে আসা দলটির পক্ষে কখনো সম্ভব নয়। ইন্ডিয়ার একমাত্র বিশ্বস্ত দল আওয়ামী লীগ। অন্য কোনো দলকে দেশটি বিশ্বাস করে না এবং ভবিষ্যতে করবে না এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
ইন্ডিয়া আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলকে বিশ্বাস না করলেও বিকল্প হিসেবে বিএনপি’র সাথে সম্পর্ক ঠিকঠাক করতে চায়। এ জন্যই ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে দেখা করেছিলেন। এটা আসলে কোনো সৌজন্যে সাক্ষাৎ ছিল না। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সাক্ষাতে প্রণয় ভার্মা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে বিএনপি’র সহায়তা চেয়েছেন। হাইকমিশনার বড়জোর অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি লেভেলের অফিসার। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক মন্ত্রী দেশের সবচেয়ে বড় দলের সেক্রেটারি জেনারেল। এ জন্য অনেক বিশ্লেষক ইন্ডিয়ান হাইকমিশনারের সাথে মির্জা ফখরুলের সে সৌজন্যে সাক্ষাতে প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন।
সে যাই হোক। বিএনপি ক্ষমতায় যাবার জন্য কেন চোরাবালির পথ বেছে নিয়েছে? এ দলটি অতীতেও জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেছে। আগামীতেও জনগণের ভোটে সহজেই ক্ষমতায় যেতে পারে। তাহলে ক্ষমতায় যাবার জন্য বিএনপি কেন গণবিরোধী পথ বেছে নিয়েছে? বিএনপি কি তাহলে পথ হারিয়েছে? বিগত ৫ অগাস্ট গণবিপ্লবে ক্ষমতা জরবদখলকারী হাসিনার পতনের পর বিএনপি’র কোনো সিনিয়র নেতার মুখ দিয়ে গঠনমূলক ও গণমুখী বক্তব্য আসেনি। তাদের প্রত্যেকটি বক্তব্য কোনো না কোনো বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আজ যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কথা বলছেন তারা আগামীতে বিএনপি নিষিদ্ধ করার কথা বলবেন না তার নিশ্চয়তা কি? একজন সিনিয়র নেতার মুখে এ ধরণের ছেলেমানুষী বক্তব্য বের হয় কিভাবে? এ ধরণের কথা বলার অর্থ কি? আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সাথে বিএনপি’র সম্পর্ক কি?
আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ দূর করবে। আমির খসরু এ ধরণের কথা কিভাবে বলেন? বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার চিন্তা না করে তিনি ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে গেলেন কেন? আমির খসরুর বক্তব্য মানে বিএনপি’র দলীয় বক্তব্য। বিএনপি তাহলে হাসিনার মতো দেশের মানুষের নিরাপত্তার চেয়ে ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা বিধানে বেশি কমিটেড? চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বাণিজ্য মন্ত্রী থাকাকালে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাইওয়ানকে ঢাকায় একটি বাণিজ্যিক অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন। এ কারণে চায়নার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছিল। অথচ জিয়াউর রহমানের আমল থেকে এক চায়না নীতিতে কমিটেড ছিল বাংলাদেশ।
বিশেষ করে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও বিএনপিতে যোগ দেয়া ৭১ এর মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমানের টক-শোতে দেয়া বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। হাসিনার পতনের পর রুমিন ফারহানা সংবিধানের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। অন্ধকে হাইকোর্ট দেখানোর মতো অবস্থা আর কি! মনে হয় সংবিধানের ব্যাক্ষ্যা একমাত্র রুমিন ফারহানাই জানেন! ফজলুর রহমান যত্রতত্র মৌলবাদী ও রাজাকার শব্দ ব্যবহার করে বিএনপি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। জিয়াউর রহমান খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি কখনো ৭১ নিয়ে নোংরা রাজনীতি করেননি। যাকে তাকে রাজাকার বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেননি। কারণ তিনি এ দেশের মানুষের নাড়ি-নক্ষত্র খুব ভাল ভাবে অনুধাবন করেছিলেন।
৫ অগাস্টের পর কতিপয় নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়ে বার বার আলোকপাত করা হলেও বিএনপি’র পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নেতাদের লাগামহীন বক্তব্য দেয়াও বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি শামসুজ্জামান দুদু ও বরকত উল্লাহ ভুলুকে সতর্ক করে নোটিশ দেয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। কথিত ১/১১ সরকারের আমল থেকে বিএনপি ব্যাপক জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সীমাহীন জুলুম-নির্যাতনের ঘটনাগুলো দেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এসব ইতিহাস কি বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা ভুলে গিয়েছেন? তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন বলে মনে হয় না। যদিওবা জুলুমের শিকার হয়েছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। সুবিধাবাদী অনেক সিনিয়র নেতা কঠিন পরিস্থিতিতে পিঠ বাঁচিয়ে চলেছেন।
৫ অগাস্টের পর থেকে কিছু দুর্বৃত্ত বিএনপি’র নাম ব্যবহার করে সব জায়গায় চাঁদাবাজী, মাদক কারবার ও বেআইনী কাজের মহোৎসব শুরু করেছে। দুর্বৃত্তদের নানা অপকর্মের বিষয়ে সংবাদপত্রগুলোতে প্রতিদিন রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। এরমধ্যে যে কিছু অতিরঞ্জিত নিউজ আছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিএনপি দলীয় ভাবে কোনো দুর্বৃত্তের বেআইনী কাজকে প্রশ্রয় দেয়নি। প্রশ্ন হলো, পেশাদার মাদক কারবারী বিএনপি ও ছাত্রদলের পদপদবী পায় কিভাবে? নিশ্চয় এখানে টাকার খেলা কাজ করে! টাকা দিয়ে নেতা বানানোর প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে বিএনপি সহজে বিপদ মুক্ত হতে পারবে না। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক-এগারোর সরকারের আমলের মতো বিএনপির বিরুদ্ধে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’–এর প্রেক্ষাপট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য বিএনপির যত বেশি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, তত বেশি বিএনপিকে মিডিয়া ট্রায়ালের মুখোমুখি করা হচ্ছে। দৈনিক প্রথম আলো, ১৭ মার্চ ২০২৫ইং।
তারেক রহমানের বক্তব্যের অনেকটা সত্যতা আছে। কারণ মিডিয়াগুলোর পলিসী মেকারদের মধ্যে এখনো হাসিনার আমলের লোকজন রয়ে গেছে। মিডিয়া, প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ পুনর্গঠন ও সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। দলটির উচিত ছিল পুনর্গঠন ও প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো সরকারকে চাপ দিয়ে করিয়ে নেয়া। বিএনপি’র বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়ালের অন্যতম অনুঘটক প্রথম আলো-ডেইলি স্টার। বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে এসব বিতর্কিত সম্পাদক ও অন্যান্য সুবিধাবাদী সাংবাদিকদের জামাই আদর করছেন কেন? বিএনপি’র কাছে এর সঠিক কোনো জওয়াব আছে? ১/১১ সরকারের আমল থেকে দেশের পক্ষে লেখালেখি করতে গিয়ে কতো সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন এর সঠিক হিসাব বিএনপি’র কাছে আছে?
দেশের পক্ষে কাজ করে জেল-জুলুমের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত সাংবাদিকদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে তথ্য সন্ত্রাসীদের কাছে টেনে নেবেন। আবার বিএনপি’র বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ করবেন। এ ধরণের দ্বিচারিতা কেন? জুলাই বিপ্লব ছাত্রদের নেতৃত্বে সফল হয়েছে। তবে সফলতার পেছনে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। বিষয়টি কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
কতিপয় বিএনপি নেতা জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের নেতৃত্বে গঠিত এনসিপিকে নিয়ে সন্দেহ করছেন। বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন। এনসিপি ছোট একটা দল। তারা সবেমাত্র রাজনীতিতে পা ফেলেছে। বিএনপি’র সাথে তাদের কোনো তুলনাই চলে না। তাদের সন্দেহ করতে হবে কেন? তাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ ও মতবিরোধে জড়াতে হবে কেন? বিএনপি’র নিজেরই অনেক সমস্যা আছে। সেগুলো সমাধান করা দরকার।
বিএনপিতে যোগ দেয়া ফজলুর রহমান টক-শোতে গিয়ে আওয়ামী নেতাদের স্টাইলে কথা বলছেন। যাকে তাকে রাজাকার ও মৌলবাদী বলে বিদ্রূপ করছেন। জনমনে এসবের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এতে বিএনপি’র লাভ হচ্ছে না ক্ষতি হচ্ছে সেটা চিন্তা করার মানুষ কি বিএনপিতে নেই? ২০১৮ সালের নিশিভোটের এমপি রুমিন ফারহানা টক-শোতে গিয়ে এতো বাকওয়াজী করেন কেন? ৫ অগাস্টের পর তার প্রত্যেকটি বক্তব্য বিতর্কিত। তিনি ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেলে গিয়ে কেন তারেক রহমানের নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন? রুমিন ফারহানা কি ভেবে দেখেছেন তার এসব বক্তব্যের ইমপ্যাক্ট কি হবে? এসব বক্তব্য দিয়ে তিনি বিএনপি’র কট্টর বিরোধিদের হাতে সমালোচনার অস্ত্র তুলে দিলেন না? সমালোচকরা বলবেন যে নেতা নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্য এতো বেশি চিন্তা করেন-ক্ষমতায় গিয়ে তিনি মানুষের নিরাপত্তা দেবেন কিভাবে? কোন যোগ্যতায় রুমিন ফারহানার মতো একজন বাচাল মহিলাকে বিএনপি’র মতো বড় দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক করা হয়েছে? তিনি এখনো অবিবাহিত। যার নিজের জীবন এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। দলের প্রতি তার ডেডিকেশন ও স্যাক্রিফাইস কি? ২০১৮ সালের নিশিভোটের এমপি হয়ে তিনি শুধু তার বান্ধবী আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিলের সাথে আমোদফূর্তি করেছেন। হাসিনার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। এমপি কোটায় প্লট ভাগিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা পুলিশ, র্যাব-এর তাড়া খেয়ে ঘরে থাকতে পারেননি।
গত ২০ মে রাজধানী ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপির লোকেরা যদি প্রশ্রাব করে একমাত্র প্রস্রাবের তোড়ে ভেসে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়বা। বিএনপি সম্পর্কে যে অভিযোগ করছো, সে অভিযোগের জবাবে যদি বিএনপি যদি থুথু ফেলে সে থুথুর মধ্যে তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস, ২০ মে ২০২৫ইং। যদিওবা ‘বিএনপির রাজনীতিবিদরা আওয়ামী লীগের টাকায় রাজনীতি করে’-জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ অবশ্যই বাড়াবাড়ি করেছেন। তবুও তার বক্তব্যের জবাবে এভাবে কথা বলা একজন সিনিয়র নেতার উচিত হয়নি।
বিএনপি’র স্টুডেন্ট উইং ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য খুন হবার পর রাকিব ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভিসি’র পদত্যাগ দাবি করে হাস্যরসের খোরাক যুগিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার বক্তব্যগুলো সন্ত্রাসী সুলভ। একটি বড় ছাত্র সংগঠনের সভাপতির এ ধরণের বক্তব্য সব মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের এসব দায়িত্বহীন, বাগাড়ম্বর ও দাম্ভিকতাপূর্ণ বক্তব্য ভাল ভাবে নিচ্ছে না।
গত ২০ মে রাজধানী ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপির লোকেরা যদি প্রশ্রাব করে একমাত্র প্রস্রাবের তোড়ে ভেসে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়বা। বিএনপি সম্পর্কে যে অভিযোগ করছো, সে অভিযোগের জবাবে যদি বিএনপি যদি থুথু ফেলে সে থুথুর মধ্যে তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস, ২০ মে ২০২৫ইং। যদিওবা ‘বিএনপির রাজনীতিবিদরা আওয়ামী লীগের টাকায় রাজনীতি করে’-জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ অবশ্যই বাড়াবাড়ি করেছেন। তবুও তার বক্তব্যের জবাবে এভাবে কথা বলা একজন সিনিয়র নেতার উচিত হয়নি। সাধারণ মানুষ বিএনপি নেতাদের এসব দায়িত্বহীন, বাগাড়ম্বর ও দাম্ভিকতাপূর্ণ বক্তব্য ভাল ভাবে নিচ্ছে না।
অনেকে বলছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ, মাহবুবুল আলম হানিফদের মতো লাগামহীন বক্তব্য দেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন কতিপয় বিএনপি নেতা।
তারেক রহমান লন্ডন থেকে কিছু জনসেবা মূলক কাজ করলেও বিএনপি’র অন্য কোনো নেতাদের মধ্যে জনসেবা মূলক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
নিম্নোক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিএনপি’র অন্যতম দাবি হওয়া উচিত ছিল।
১. নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা বাতিল।
২. রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সাজানো মামলা বাতিল।
৩. জুলুম-নির্যাতনের শিকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ক্ষতিপুরণ দেয়া।
৪. সাজানো জঙ্গি মামলায় আটক নিরপরাধ আলেমদের মুক্তি।
৫. সাজার মেয়াদ শেষ হবার পরও কারাগারে আটক বিডিআর জওয়ানদের মুক্তি।
৬. আওয়ামী দালাল মিডিয়াগুলো পুনর্গঠন ও সংস্কার।
৭. বিচার বিভাগ পুনর্গঠন করে হত্যা মামলার আসামীসহ দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের অপসারণ।
৮. সচিবালয়, প্রশাসন পুনর্গঠন করে যোগ্য ও মেধাবী লোকদের পদায়ন করা।
৯. আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুনর্গঠন ও সংস্কার।
আগামী দিনে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে উপরোক্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি। দুর্ভাগ্য যে, এসব জনগুরুত্বপূর্ণ দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতারা একেবারেই উদাসীন।
বিএনপি’র ২য় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান জনসেবামূলক কাজ করলেও তার উপদেষ্টাকে নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের ছেলে মাহাদী আমিনকে তারেক রহমান তার উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন। মাহাদী আমিন তার নামের আগে ড. পদবী ব্যবহার করলেও তিনি পিএইচডি কমপ্লিট করেননি বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের সাবেক প্রফেসর কানাডা প্রবাসী ড. তাজ হাসমীর ইউটিউব চ্যানেলে লন্ডন প্রবাসী তাসলিমা তাজ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাসলিমা বলেছেন, মাহদী আমিনের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইন্সটিটিউটে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, তিনি পিএইচডি কমপ্লিট করেননি। বিগত ১৫ বছর ধরে বিএনপি’র দুর্যোগের সময় কি ভূমিকা ছিল মাহাদী আমিনের? অনেকেই বলছেন তিনি আওয়ামী প্রচারসেল সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (CRI)-এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সিআরআই-এর সাথে সম্পৃক্ত অনেকের সাথে মাহাদী আমিনের প্রুপ ছবি আছে। অনেকে এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
বিএনপি’র ২য় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান জনসেবামূলক কাজ করলেও তার উপদেষ্টাকে নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের ছেলে মাহাদী আমিনকে তারেক রহমান তার উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন। মাহাদী আমিন তার নামের আগে ড. পদবী ব্যবহার করলেও তিনি পিএইচডি কমপ্লিট করেননি বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের সাবেক প্রফেসর কানাডা প্রবাসী ড. তাজ হাসমীর ইউটিউব চ্যানেলে লন্ডন প্রবাসী তাসলিমা তাজ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাসলিমা বলেছেন, মাহদী আমিনের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইন্সটিটিউটে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, তিনি পিএইচডি কমপ্লিট করেননি। বিগত ১৫ বছর ধরে বিএনপি’র দুর্যোগের সময় কি ভূমিকা ছিল মাহাদী আমিনের? অনেকেই বলছেন তিনি আওয়ামী প্রচারসেল সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (CRI)-এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সিআরআই-এর সাথে সম্পৃক্ত অনেকের সাথে মাহাদী আমিনের প্রুপ ছবি আছে। অনেকে এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপিতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নিচ্ছে। মনে হচ্ছে তারেক রহমানও সঠিক পথে নেই। তিনি অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে না। ২০০১-২০০৬ রেজিমের মতোই একটি সুবিধাবাদী ও বাটপার চক্র তারেক রহমানকে ঘিরে ফেলেছে। তারা তাকে মহামানব বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একই চক্র হাওয়া ভবন নিয়ে তারেক রহমানকে মহামানব বানিয়ে গণবিচ্ছিন্ন করেছিল। হাওয়া ভবন নিয়ে আওয়ামী মিডিয়াগুলো ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছে। তবে কিছু বিষয়ের সত্যতা আছে। অনেক সিনিয়র বিএনপি নেতা হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের সাথে দেখা করার অনুমতি পেতেন না। অথচ হাওয়া ভবনের পাইক-পেয়াদারা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী সমর্থক অনেক সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীকে তারেক রহমানের সাথে দেখা করিয়ে দিয়েছে। এর ফল স্বরূপ বিগত ১৬ বছর যাবৎ বিএনপি’র নেতৃত্বে কোনো আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। তারেক রহমানকে বুঝতে হবে যেসব বাটপার নেতা তাকে মহামানব বানানোর চেষ্টা করছে তারা তার শুভাকাঙ্খী নয়।
তারেক রহমানের উচিত ছিল রাষ্ট্র বিজ্ঞানের একজন অভিজ্ঞ প্রফেসরকে তার উপদেষ্টা নিয়োগ করা। শুধু একজন নয় তারেক রহমানকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য অন্তত ১০ থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা দরকার। যার মধ্যে থাকবেন শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী। পিএইচডি কমপ্লিট না করে মাহাদী আমিনের নামের আগে ড. পদবী ব্যবহার করার বিষয়টি বোদ্ধা মহল ভালো চোঁখে দেখছেন না। বিস্ময়কর বিষয় যে, একজন লোক অন্য দল থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার সাথে সাথে তাকে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা করা হচ্ছে। ভাইটাল পোস্ট দেয়া হচ্ছে। এর কোনো যুক্তি আছে? বিএনপি ক্যাডার ভিত্তিক দল নয়। এরপরও দলীয় আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা বলে কিছু বিষয় আছে। বিএনপি ’র পলিসী মেকাররা কি সেসব ভুলে গেছেন? বিএনপি কি তাহলে বাটপার, সুবিধাবাদী, মুনাফিক ও দলছুটদের পুনর্বাসনের ক্লাবে পরিণত হবে? দলে নতুন যোগ দেয়া লোকগুলোকে কিছুদিন অবজারভেশনে রাখলে সমস্যা কি? নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের অবিরত সরকারকে চাপ দেয়ার বিষয় সাধারণ মানুষ ভালো চোঁখে দেখছে না। কথিত ১/১১ সরকারের আমলে বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের সবাই কারাগারে ছিলেন। পুরো ২ বছর নির্বাচন নিয়ে কথাই বলতে পারেননি কোনো নেতা। হাসিনার আমলে ৫ বছর পর পর রুটিন মাফিক ভুয়া ও সাজানো নির্বাচন হয়েছে। কিছুই করতে পারেনি বিএনপি।
২০২৪ সালের জুলাই গণবিপ্লবে দুই হাজার সাধারণ মানুষের রক্তের বিনিময়ে একটি সরকার গঠিত হয়েছে। নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধানের দায়িত্বে আছেন। ড. ইউনূসকে বিএনপি বিশ্বাস করতে পারছে না? তাহলে কাকে বিশ্বাস করবে? উপরোক্ত কিছু জরুরি কাজ সরকারকে দিয়ে করিয়ে নিলে বিএনপি’র জন্যই ভাল হতো। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচন চাইতেই পারে। এতে সমস্যা নেই। দেশের বড় দল হিসেবে মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলোর বিষয়েও তাদের দৃষ্টি দেয়া উচিত। এসব বিষয়ে উদাসীন থেকে সারাক্ষণ নির্বাচন নির্বাচন করার কারণে বিএনপি’র ইমেজ কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। বিস্ময়কর বিষয় যে, নির্বাচন নিয়ে ইন্ডিয়ান সরকার, পলিসী মেকার, অবিরাম বাংলাদেশ বিরোধী মিথ্যা প্রচার-প্রচারণায় লিপ্ত সে দেশের মিডিয়া ও বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের অনেক মিল পাওয়া যাচ্ছে। এটা কি কাকতালীয় না অন্য কিছু?
কতিপয় বিএনপি নেতা আওয়ামী নেতাদের মতোই জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের রাজাকার বলে গালাগাল করছেন। কেউ কেউ আবার ৭১ নিয়ে পুনরায় বাণিজ্য করতে চাচ্ছেন। এসব বিষয়গুলো সাধারণ মানুষ মোটেও ভালো চোঁখে দেখছে না। অনেকে বলছেন, ইন্ডিয়ার বিষয়েও বিএনপি তার দলীয় অবস্থান পরিবর্তন করেছে। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিএনপি সম্পর্কে ক্ষোভ তৈরী হচ্ছে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ইন্ডিয়া সম্পর্কে জিয়াউর রহমানের পলিসী ও অবস্থান থেকে যদি বিএনপি সরে আসে তাহলে অবশ্যই সেটা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া উচিত। লুকোচুরি করলে বিএনপিরই ক্ষতি হবে। আমরা তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ। আমাদের চোঁখে দেখা বাস্তব বিষয়গুলো বলা দরকার তাই বলে দিচ্ছি। কি করবে বা না করবে সেটা বিএনপি’র সিদ্ধান্ত।
লেখক: গল্পকার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized