বুধবার রাত ৮:৪০, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ খবর:
২৮ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা একাডেমিতে ‘মাতৃভাষা উৎসব’ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পোস্টারে লেমিনেশন ও পলিথিন ব্যবহাররোধে স্মারকলিপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় পার্টি: চুন্নু মাতৃভাষা একাডেমিতে কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া সম্মেলন অনু‌ষ্ঠিত ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ার বিখ্যাত বাইশমৌজা বাজার ও গরুর হাট ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ায় তরুণ আলেমদের ২য় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তরুণ আলেমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলাম তরবা‌রির জো‌রে প্রতি‌ষ্ঠিত হয়‌নি: আলেমদের সঙ্গে মোকতা‌দির চৌধুরী ফাহমিদা প্রজেক্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি ফাহমিদা প্রজেক্ট: অব‌হে‌লিত নারী‌দের কর্মসংস্থানে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ

প্রযুক্তি যখন আসক্তি

৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার যুগ। আর এ যুগে ইন্টারনেট রাজত্ব করছে পুরো বিশ্ব জুড়ে। ইন্টারনেটের বদৌলতে আমরা আজ যোগাযোগ ক্ষেত্রে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগে যেখানে চিঠির খামে করে ডাকবাক্সে চিঠি ছেড়ে তা পৌছার জন্য দিনের পর দিন মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হতো এখন সেই অপেক্ষার প্রহর আর গুনতে হয়না। ই-মেইল একটি স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। এই ইন্টারনেট আমাদের দিয়েছে সমৃদ্ধি দিয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য। ইন্টারনেটের কল্যাণে সারা বিশ্বের সাথে আমাদের নিমেষেই যোগাযোগ হচ্ছে। অনলাইন কমিউনিকেশনের মাধ্যমে আমরা আজ খুব সহজেই আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম খুব অল্প সময়েই করতে পারছি।

ইন্টারনেট ব্যবহারে আজ আমাদের দেশ অনেক সমৃদ্ধ। আজকাল মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও এই যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজতর হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১০-১৫ বছর আগে সরকারী চাকুরীর দরখাস্ত করতে দিনের পর দিন ঘুরাঘুরি করে ব্যাংকের মাধ্যমে ড্রাফট, পোষ্টাল অর্ডার, পে অর্ডার ইত্যাদির জন্য লাইনের পর লাইনে ধন্যা দিতে হতো।

চাকুরী ক্ষেত্র ছাড়াও ট্রেন কিংবা যানবাহনের টিকেট কাটতেও লাইন ধরতে হতো। ই টিকেটিং এর কল্যাণে তা আজ অনেক সহজতর হয়েছে। আজ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কম্পিউটার ডাটাবেজ সফটওয়ার ব্যবহার করে বিভিন্ন যানবাহনের টিকিট খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংগ্রহ করা যায়।
কম্পিউটার ইনফরমেশন টেকনোলজির এই যুগে চিকিৎসা ক্ষেত্রও আজ ব্যাপক সমৃদ্ধ। আগে সাধারণ একটি এক্সরে কিংবা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হতো। ডিজিটাল কম্পিউটারাইজড বিভিন্ন মেশিনের সাহায্যে বর্তমান কালে এসব জটিল রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়া অনেক সহজতর হয়েছে।

এবার আসি শিক্ষা ক্ষেত্রে। অনলাইন ভর্তি কিংবা রেজাল্টের সিস্টেম চালু হওয়ার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধন্যা দিতে হতো। লাইনে দাড়িয়ে ফরম পূরণ করা, ফলাফলের জন্য নোটিশ বোর্ডে গিয়ে সবার আগে লাইন ধরা, রেজিষ্ট্রেশন ফরমের ছবি জমা দেওয়া সহ নানাবিধ কাজ আগে ম্যানুয়ালি করা হতো। বর্তমানে অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ কর্ম আজ নিমেষেই সম্পন্ন করা যাচ্ছে। এক সময় পরীক্ষার্থীরা দিনের পর দিন বিভিন্ন সহপাঠীদের কাছ থেকে, শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুরে ঘুরে নোট বুক কিংবা হ্যন্ড নোট সংগ্রহ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতো। কিন্তু এখন ডিজিটাল যুগে ই-বুকের কল্যাণে ঘরে বসেই ইন্টারনেট থেকে এসব খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায়।

এবার আসি বিদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে। বাংলাদেশে অনেক প্রবাসী রয়েছেন । তারা একসময় বিদেশ যাবার নাম নিলেই দিনের পর দিন ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে দিনের পর দিন ধরনা দিত। কিন্তু বর্তমানে সব দেশের ভিসা প্রক্রিয়া অনলাইনে করা সম্ভব। যা আবেদন করতে এখন আর আগের মতো সময়, শ্রম ও অর্থ কোনটাই অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়না।

আজ থেকে 18 বছর আগে মার্ক জুকারবার্গ তিন বন্ধূর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম সৃষ্টির লক্ষ্যে ফেসবুক নামে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করেছিলেন। যা আজ সারা বিশ্বে বহুল প্রচলিত। এই ফেসবুকের কল্যাণে মানুষ আজ খুব সহজেই দূর দূরান্তের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, ব্যবসায়িক পার্টনারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ তার বর্তমান অবস্থা, সামাজিক অবস্থার বিভিন্ন চিত্র খুব সহজেই তুলে ধরতে পারেন। যা একপ্রকার চলমান সংবাদ মাধ্যম।

খুব সংক্ষেপে উপস্থাপিত হলো তথ্য প্রযুক্তির ভালো দিক গুলো। কিন্তু মুদ্রার যেমন এপিঠ ওপিঠ থাকে তেমনি এরও রয়েছে বিভিন্ন খারাপ দিক গুলো। যাকে আমরা অপব্যবহার বলি। এক শ্রেণির কান্ডজ্ঞানহীন ভবঘুরে সমাজ তাকে আজ ব্যবহার করছে অপকর্মের মাধ্যম হিসেবে। ফেসবুকের মাধ্যমে আজকাল দেহ ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, জাল কাগজপত্র আদান প্রদান, পরীক্ষার ফলাফল, প্রশ্নপত্র ফাঁস, যৌন হয়রানি সহ নানা প্রকার অসামাজিক কাজ কর্ম খুব সহজেই সংঘটিত হচ্ছে। এই ফেসবুকের ডিজিটাল ব্যবহারের ফলে আজকালকার কিশোর কিশোরীদের নৈতিক জ্ঞান বাধা গ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা ফেসবুকে যেসব ভাষা ব্যবহার করে তা আর এখানে উল্লেখ করলাম না। যারা ভুক্তভোগী তারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন আশা করি। বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের সংক্ষিপ্ত ব্যবহারের ফলে আমাদের ছাত্র সমাজ আজ অনেক বানানই সঠিক ভাবে করতে পারেনা। যেমন ঃ ওহ মাই গড এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ওএমজি।

পরিশেষে বলতে চাই যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেট আজ দারুণ সুখবর বয়ে এনেছে আমাদের সামাজিক চলাচলে কিন্তু তার পাশাপাশি এর অপব্যহার রোধে এখন থেকেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তা আমাদের জন্য হবে বিরাট হুমকি। আমাদের যুব সমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে ইন্টারনেটের অপব্যবহার এখন থেকেই রোধ করতে হবে। আর এর জন্য অভিভাবক মহলকে এখন থেকেই সচেতন হওয়ার আহবান জানান সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ গণ।

মোঃ ইমতিয়াজুল ইসলাম সৌরভ, এলএলবি (শিক্ষানবিশ আইনজীবি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্ট।

Some text

ক্যাটাগরি: Uncategorized

Leave a Reply

হিজবুল্লাহকে ইসরাইলের কঠিন হুশিয়ারি

‌ফি‌লি‌স্তি‌নের রক্তঝরা ইতিহাস

বিপদে ভেঙ্গে পড়া নয়, কৃতজ্ঞতাবোধ…

মান‌সিক অস্থিরতা দূর করতে কোন…

প‌রিবার ও সম্প্রী‌তির বন্ধন

অর্থই কি সব সু‌খের মূল?