সোমবার সকাল ৮:৩৮, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ খবর:
ইসলাম তরবা‌রির জো‌রে প্রতি‌ষ্ঠিত হয়‌নি: আলেমদের সঙ্গে মোকতা‌দির চৌধুরী ফাহমিদা প্রজেক্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি ফাহমিদা প্রজেক্ট: অব‌হে‌লিত নারী‌দের কর্মসংস্থানে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ১২৫ বছরের বৃদ্ধা: গিনেস বুকে নাম উঠানোর প্রসঙ্গ নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন শোষণ করে সূর্যমুখী শেষ হল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা কোর্স মুফতি মুবারকুল্লাহকে আদ-দাঈর `লেখক সম্মাননা স্মারক` প্রদান মহামন্দার শঙ্কায় বিশ্বঅর্থনী‌তি: অচলায়ত‌নে বাংলা‌দেশ মুহুরীনির্ভর আদালত ন‍্যায়বিচারের প্রতিবন্ধক আমি কেন অনলাইনে শিক্ষা ও জ্ঞান বিতরণের বিরোধী: জাকির মাহদিন ‌তিতাস ট্রেনের দুর্নী‌তি-অব্যবস্থাপনা চর‌মে: যাত্রীভোগা‌ন্তি সীমাহীন বিএমএসএফ`র উ‌দ্যোগে ঢাকায় `জার্নালিস্ট শেল্টার হোম`: সব সাংবাদিকের জন্য উন্মুক্ত

খেলা নি‌য়ে অ‌তি উৎসাহ ভা‌লো নয়

৩০৯ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

খেলা কোনো অর্থবহ কাজ নয়। খেলা সমাজ-রাষ্ট্রে ও বিশ্বে মানুষের মৌলিক চাহিদার কিছু উৎপাদন করে না। তবে মৌলিক উৎপাদনশীলতার মেহনতে জড়িত রক্ত-পরিশ্রমের অর্থ খেলায় প্রচুর পরিমাণে খরচ হয়, যা বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চরমভাবে স্বার্থবিরোধী। খেলা বিশ্বব্যাপী একক মানবসমাজকে বিভিন্ন দলে শত্রুজ্ঞানে ভাগ করে জয়ের মিথ্যা উল্লাসে মেতে উঠে। অপরকিছু দল পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবে যায়। যা প্রকৃত মানবজীবনের সন্ধান থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

আদিকাল থেকেই বিশ্বব্যাপী একটি একক মানবসমাজ সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে। বিশ্বের একপ্রান্তের মানুষ আরেক প্রান্তের মানুষের ভাই। আমরা সবাই একই পিতামাতার সন্তান। আমাদের সবার রক্তের রঙ, শরীরের মৌলিক কাঠামো, মৌলিক চাহিদা, আশা-আকাঙ্ক্ষা এক। উপরের ছাদ এক। নীচের বিছানা এক। খেলার মতো একটা খুবই সাধারণ ও অর্থহীন কাজ-পেশা দিয়ে সমাজের বিভিন্ন অংশকে তথাকথিত জয়-পরাজয়ের স্বাদ দেওয়া, শত্রুজ্ঞান করা, ব্যস্ত রাখা, জাতীয় অর্থ অপচয় করা মানবতাবিরোধী।

খেলায় প্রতিনিধিত্ব করতে সত্যচিন্তা, শিক্ষা, সততা, জ্ঞান ও সচ্চরিত্র কোনো শর্ত নয়। খেলায় একজন গণ্ডমূর্খ, একজন ভণ্ড-লম্পট, অশিক্ষিত-নির্লজ্জও দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে। এতে সততা, জ্ঞান, শিক্ষা অনুৎসাহিত হয়। দেশ ও বিশ্ব ধীরে ধীরে অসংখ্য মীমাংসাহীন সমস্যায় প্রবেশ করে। মানবের শ্রেষ্ঠত্ব, জীবনের গূড় অর্থ, তাৎপর্য ধূলোয় মিশে যায়। তাই খেলা জাতীয়ভাবে ও বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত হতে পারে না।

“খেলার মতো একটা খুবই সাধারণ ও অর্থহীন কাজ-পেশা দিয়ে সমাজের বিভিন্ন অংশকে তথাকথিত জয়-পরাজয়ের স্বাদ দেওয়া, শত্রুজ্ঞান করা, ব্যস্ত রাখা, জাতীয় অর্থ অপচয় করা মানবতাবিরোধী।”

খেলা বিশ্বের সমস্যা সমাধান করবে দূরের কথা, কোনো রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা দূর করারই সাধ্য নেই। আজ যখন শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া, তখন তারা এশিয়া কাপ নেয়। পাকিস্তান যখন বন্যার পানিতে ডুবে মরছে, বিশ্বের দরবারে ভিক্ষার থালা হাতে, তখন তারা ফাইনাল খেলতে পেরে গর্ববোধ করে, মাঠে সেজদা দেয়। খোলামাঠে হাগু করা ভারতও বড় বড় কাপ নেয়। আর বাংলাদেশের কথা নাইবা বললাম।

সুতরাং খেলায় হার-জিত নিয়ে উল্লাসে ফেঁটে পড়া বা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার কোনো কারণ দেখছি না। সাধারণ একটা বিষয়কে সাধারণ হিসেবেই দেখতে হবে, বিশেষ নয়। মানুষ হিসেবে, জাতি হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে আমাদের অনেক কাজ বাকি। খেলার সময় কই? হ্যাঁ, স্বাস্থ সুস্থ রাখতে নিয়মিত ও পরিমিত শরীরচর্চা করুন।

লেখক: জাকির মাহদিন

Some text

ক্যাটাগরি: Uncategorized

Leave a Reply

মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ভয়াবহ দিনগু‌লি

শবে বরাত: হারানো উৎসব

একু‌শের প্রভাতফে‌রি ও এর চেতনা

ইসরাইল পরিচিতি

ভাষা : গ‌তি-প্রকৃ‌তি ও বাংলা…