শনিবার দুপুর ১২:৪০, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ খবর:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়কর আইনজীবী সমিতির অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা একাডেমিতে ‘মাতৃভাষা উৎসব’ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পোস্টারে লেমিনেশন ও পলিথিন ব্যবহাররোধে স্মারকলিপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় পার্টি: চুন্নু মাতৃভাষা একাডেমিতে কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া সম্মেলন অনু‌ষ্ঠিত ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ার বিখ্যাত বাইশমৌজা বাজার ও গরুর হাট ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ায় তরুণ আলেমদের ২য় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তরুণ আলেমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলাম তরবা‌রির জো‌রে প্রতি‌ষ্ঠিত হয়‌নি: আলেমদের সঙ্গে মোকতা‌দির চৌধুরী ফাহমিদা প্রজেক্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নারীর অংশগ্রহণ জরুরি

৩১৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

একসময় প্রযুক্তি এতটা অগ্রসর ছিল না। চিঠিপত্র পাঠাতে, টাকা পাঠাতে, কারও সাথে ভয়েস কলে কথা বলতে আমাদের আলাদা আলাদা যন্ত্র ব্যবহার করতে হতো। তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে সবকিছু আজ একটি মাত্র যন্ত্র কম্পিউটার বা একটি এন্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করে সম্ভবপর করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা ঘরে বসেই যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে পারি।

নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সকল উন্নত দেশে প্রায় ৫০% থেকে ৮০% পর্যন্ত জাতীয় আয়ে ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ধর্মীয় গোড়ামী ও কুসংস্কার নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে পিছপা করে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রাচীন সংস্কৃতি হস্তশিল্প নির্ভর ছিল। আর এখানকার প্রায় ৯০% হস্তশিল্প নারী নির্ভর ছিল একসময়। কামার, কুমোর, বাঁশ শিল্প, তাঁত শিল্প, সুবিখ্যাত মসলিনসহ যাবতীয় প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি নারীনির্ভর ছিল বিষয়টি আমাদের অজানা নয়।

বাংলাদেশের সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে আমরা সবার শীর্ষে। প্রায় ১১২৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটারে। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নতির জন্য নারী পুরুষ নির্বিশেষে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো বাধ্যতামূলক বিবেচিত হচ্ছে। এই বিপুল সংখ্যক নারী সমাজকে বেকার রেখে এদেশের অর্থনেতিক মুক্তি সম্ভব নয়। অন্যদিকে ধর্মীয় নীতি নৈতিকতা উপেক্ষা করে এই বিপুল সংখ্যক নারী সমাজকে ঘর থেকে বাহিরে এনে কাজ করানো ও সম্ভব নয়। তাই পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের এই নারী সমাজকে ঘরে বসিয়ে রেখেই নানামুখী অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ানো সম্ভব। যা সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের ব্যাপক সমৃদ্ধি ও ব্যবহার যোগ্যতার মধ্য দিয়ে।

নারীরা স্বাভাবিক ভাবেই ঘরমুখী। আমাদের দেশের প্রায় মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪২ শতাংশ মোবাইল ব্যবহার করে১। নারীরা ও মোবাইল ব্যবহার করে। শুধুমাত্র ইউটিউবে ভিডিও দেখে সময় পার করা নারীর সংখ্যাও আমাদের দেশে কম নয়। এক শ্রেণির মানুষের উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে নিজের উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবেও এই মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করা যায় এখন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে একজন নারী ইচ্ছে করলেই নিজের ডিজাইন করা একটা ড্রেস, বাড়ীতে বানানো একটা প্রোডাক্ট এসব সাইটগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই বাজারজাত করে মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে।

নারীরা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিষয়ে নানাবিধ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আজ স্বাবলম্বী সারা পৃথিবীতে। সারা পৃথিবীর আইটি সেক্টর বর্তমানে বেশ উন্নত। সেখানে নারীরাও পিছিয়ে নেই। কম্পিউটারের সঠিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে আমাদের দেশের নারী সমাজ অর্থনৈতিক মুক্তি অন্বেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হবে। একথা স্পষ্টভাবেই বলা যায় সঠিক ও সহজবোধ্য তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও তা ব্যবহার করে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত নারীরা আগামীর পৃথিবীতে নেতৃত্বের পাশাপাশি আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী ও প্রশিক্ষিত জনসম্পদে পরিণত হওয়া এখন সময়ের ব্যপার মাত্র।

Some text

ক্যাটাগরি: Uncategorized

Leave a Reply

জীবনের খেলাঘরে বন্ধুত্বের দোলাচল

হিজবুল্লাহকে ইসরাইলের কঠিন হুশিয়ারি

‌ফি‌লি‌স্তি‌নের রক্তঝরা ইতিহাস

বিপদে ভেঙ্গে পড়া নয়, কৃতজ্ঞতাবোধ…