মানুষ নিয়ে ভাবি, মানুষ নিয়ে লেখি, মানুষ নিয়ে কাজ করি। তাই মানুষ পেলে লেখালেখি, কাজ ও ভাবনা ফেলে তাকে বা তাদেরকে সময় দেই। কারণ মানুষের জন্যই তো সমস্ত লেখালেখি, ভাবাভাবি এবং কাজ। কিন্তু কি আশ্চর্য, সেই মানুষ থেকেই আবার দূরে থাকি! দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্ধকারে একাকী বসে থাকি। অফিসেও অন্যকেউ না থাকলে বাইরে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে একাকী বসে থাকি। যেন কেউ আমাকে না দেখে, আমিও কাউকে না দেখি। কিন্তু কেন?
“আমি তেমন কাজ করি না। যা করি তা খুবই কম। কারণ আমি জানি, চারপাশের মানুষজন এত কাজ করছে যে আমি একা ‘কাজ’ না করলে আর যাই হোক, অন্তত জাতির কোনো ক্ষতি হবে না।”
মোটামুটি বুঝ হওয়ার পর থেকে কোনো ‘সামাজিক অনুষ্ঠান’, বিয়ে-বার্থডে-ট্যুর ইত্যাদিতে যাই না। তেমন কারো সঙ্গে চলি না। কারো সঙ্গে মিশি না। কারও সঙ্গে আমার মিলেও না। এত ভাবাভাবির পরও যেন ভাবনা শেষই হয় না। প্রচুর ভাবতে ভালো লাগে, একা থাকতে প্রচণ্ড ভালো লাগে। এ যেন এক স্বর্গীয় স্বাদ। স্বর্গীয় জীবন। হ্যাঁ, আমি তেমন কাজ করি না। যা করি তা খুবই কম। কারণ আমি জানি, চারপাশের মানুষজন এত কাজ করছে যে আমি একা ‘কাজ’ না করলে আর যাই হোক, অন্তত জাতির কোনো ক্ষতি হবে না। এ আমি নিশ্চিত।
সুতরাং ভাবনা-চিন্তা চলুক আরো, দীর্ঘদিন। কাজের ক্ষেত্র, পরিবেশ ও ‘মানুষ’ গড়ে তুলতে না পারলে আমার কাছে কাজের তেমন কোনো মূল্য নেই। কেউ চাইলে আমার সঙ্গী হতে পারে। না হলেও আপত্তি নেই।
জাকির মাহদিন: সম্পাদক, দেশ দর্শন
zakirmahdin@gmail.com
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম, সম্পাদকের কলাম
অসাধারণ বলেছেন ভাইজান। এজন্যই আপনাকে ভালো লাগে খুব। আসলে নীরবতা যতটুকু শিক্ষা দিতে পারে কোলাহল তা পারেনা।